একদিন আমি আর আমার ছোট্ট মেয়ে পথে বেরিয়েছি, মিরপুর থেকে বনানী ডি. ও. এইচ. এস. যাবো। তখনো ঢাকায় উবার আসেনি। অতএব সিএনজিই ভরসা। গরমে, শব্দে, ধুলায় অতিষ্ঠ; মাস্ক পরিয়েও লাভ হয় না, বারেবারে খুলে ফেলতে চায়। সনির মোড়ে এসে সিগন্যাল পড়তেই মেয়ে খুশি হয়ে উঠলো, “মা, দেখো দেখো একটা বাগান! আহ! গরমটা একটু কমে গেলো, মা!”
আমি অবাক! কোথায় বাগান? কায়ক্লেশে বেঁচে থাকা গোল চক্কর। এই একটুখানি সবুজ যদি এতটা প্রশান্তি দিতে পারে, তাহলে পুরো পথটা যদি সবুজ, ছাঁয়াঘেরা হত, তবে আর যানজট, কোলাহলে এতটা অস্থির, বিমর্ষ হত না এই নাগরিক জীবন। যানবাহনের পথের পাশে নিরাপদ, ছায়াঘন হাঁটার পথ, মাঝে মাঝে ক্লান্ত পথিকের জন্য এক টুকরো জনপরিসর, নির্দিষ্ট দূরত্ব পার হলেই পানীয় অথবা সাধারণ খাবার-ঘর ক্লান্তি ভুলিয়ে পথ চলতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেবে। কোথায় দেখা পাবো এমন পথের?
এমন পথ কিন্তু আমাদেরও ছিল, এখনও আছে; যেখানে এতটা শহুরে নয় জীবন। একটু অন্য রূপে, দেশীয় ঢঙের সে সব পথ আজও আছে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে, গ্রাম্য-লাল-ধুলায় আচ্ছন্ন মেঠো পথে। মানুষ সেখানে আজও আপন। জীবন মানবিক, সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ। আর কিছু না থাক এক ঘড়া জল, মাথার উপরে একটা ছাউনি, আর কোথাও একটা বেঞ্চ অথবা চৌকি দেখা যায়। নিদারুণ গ্রীষ্মে অথবা ঝড়ের প্রকোপে পথিকের আশ্রয়স্থল।
শহরে আছে যাত্রী ছাউনি। যান্ত্রিক জীবনের অনুষঙ্গ। যানবাহনের পথের হিসেবে গড়া। অপ্রতুল গনপরিবহনের মতই এর অপ্রতুলতা। অনুপস্থিত ছায়াঘন বৃক্ষরাজি, দুষ্প্রাপ্য শ্যামলিমা। নাগরিক সুবিধাবহুল শহর গড়তে গিয়ে সব হারিয়ে ফেলেছি আজ।
কালজয়ী প্রকৃতি
প্রকৃতির আশ্চর্য সুষমা মণ্ডিত আমাদের এই দেশ। ফুলে, ফলে, লতায়, পাতায়, বৃক্ষ ছায়ায় শোভিত এর পথ-প্রান্তর। উনবিংশ শতাব্দীর আগে গ্রাম-গঞ্জ দূরে থাক, শহরাঞ্চলেও এই ঊদার্যের অভাব ছিল না কোনও। ফুলের শোভা আর বাংলার অঢেল ঐশ্বর্য আকৃষ্ট করত বহু পর্যটক। ভাগ্য অন্বেষী বহু জাতির, পেশার মানুষের এক অরাধ্য ঠিকানা ছিল বাংলা। এমনকি ইউরোপে এই ভূমি আর পদ্ম নিয়ে প্রচলিত ছিল নানা জনশ্রুতি। ঐতিহাসিক তাইফুর এর মতে, বলা হত এই বাংলার পদ্মের স্বাদ পেলে মানুষ নাকি আত্মীয়, বন্ধু, পরিজন সব ভুলে যেতো। নিজের দেশ, গ্রাম ফেলে কাটিয়ে দিত দিন-মাস-বছর; এমনকি পুরো জীবন! ১৬৬৫ সালে শাহজাহানের সভার চিকিৎসক ফ্রাঞ্চিস বার্নিয়ার যেমন লিখে গেছেনঃ
“Bengala has hundred gates open for entrance, but not one for departure.”
আরও কয়েক শতাব্দী আগে মোহঞ্জোদারো-হরপ্পায় আবিষ্কৃত নগর সভ্যতার পরতে পরতে পাওয়া যায় অজস্র ডালপালা ছড়ানো গাছ, অশ্বথ পাতার ছাপাঙ্কিত মুদ্রা আদিম প্রাণের নিসর্গ প্রীতির পরিচয়।
মুঘল স্থাপত্যর অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এর বাগান। মধ্যযুগের ইসলামিক বাগানের সাথে তুর্কি আর মঙ্গলিয় বাগানের যুগপৎ সম্মিলনে সৃষ্টি সেই বাগানে গাছপালার সাথে আরও থাকত কৃত্রিম ঝর্না এবং ছাঁটা ঘাসের কার্পেট। মধ্য এশীয় প্রজাতি যেমনঃ সাইপ্রেস, প্লেইন, চিনার, টিউলিপ, গোলাপ ছাড়াও থাকত ফার, আম এবং অন্যান্য দেশজ উদ্ভিদ। ঢাকায় মোঘল আধিপত্যর সময় সুবা বাংলার রাজধানীতে এই ধারাবাহিকতায়ই তৈরি হয় রমনা। তাইফুরের Glimpses of Old Dhaka-য় উল্লেখ আছে মোগলরাই এর নাম দিয়েছিলেন বাগ-ই-বাদশাহী। সেই শাহী বাগান আর নেই আজ। দ্বিতীয় দফায় রমনার স্থপতি প্রাউডলকের অবদানের সামান্য কিছু টিকে আছে।
মহাকবি কালিদাসের প্রকৃতি বন্দনা আছে পুরো মেঘদূত জুড়ে। আমাদের অতি আপন মালতী, মাধবী, কুর্চি, কদম, শাপলা, শালুক, জবা, জাম, তাল, তমালসহ প্রায় পঞ্চাশেরও অধিক বৃক্ষের উল্লেখ আছে সেই মহাকাব্যে। প্রকৃতি পূজারী মর্ত্যলোকের বাসিন্দাদের সাজসজ্জার উপকরণ ছিল ফুল, দেবালয়ের অর্ঘও ছিল ফুল।
কাঞ্চন Bauhinia variegata
বৈষ্ণবকাব্যের প্রিয় ফুল চম্পা, শিরীষ, কাঞ্চন, কেশর, কিংশুক ও স্থল পদ্ম। জীবনানন্দের নামের ভিতরেই সুপ্ত তাঁর আজীবনের প্রকৃতিপ্রেম। হলুদ বোঁটা শেফালী, জলাঙ্গির ঢেউয়ে ভেজা সুবুজ, করুণ বাংলায় ফেরার আকুতি একান্তই তাঁর।
কাশ Saccharum spontaneum
মেঠো কলমির নির্মল, কোমল শুভ্রতা জসীম উদদীনের গ্রামীণ কাব্যচেতনার প্রতীক। বিভূতিভূষণের আরণ্যকের সত্য নারায়ণ আর যুগল প্রসাদ যেন আত্মার আত্বিয়। ভানুমতীর মাথায় গোঁজা সাদা ছাতিম ফুলের সুবাস, কুন্তার বন্যকুলের জঙ্গল, রাজুর ঝুপড়ির চারদিকের কাশবন, চীনা ঘাসের দানা ভাজা আর আঁখের গুড়ের খাবার, লবটুলিয়ার জঙ্গলের নির্জনতা ও অপরান্হের সিঁদুর-ছড়ান বন ঝাউয়ের অমোঘ আকর্ষণ ভোলা দায়।
বর্তমান সংগীত ও সাহিত্যে প্রকৃতির এই অপূর্ব ব্যাঞ্জনা বিরল। যন্ত্র সেখানে প্রধান চরিত্র বা অনুষঙ্গ। ফুলদানীতে প্লাস্টিকের ফুল আর কতইবা শোভা ছড়াতে পারে?
প্রাণ প্রাচুর্যময়, বৃক্ষশোভন ঢাকা শহর একসময় বসবাসের জন্য ছিল দারুণ আকর্ষণীয় এক স্থান। কিন্তু জনসংখ্যার বিপুল বিস্তার আর তার প্রয়োজনে গঠিত অবকাঠামো, প্রায় নিঃশেষ করে ফেলেছে এর প্রাকৃতিক বনাঞ্চল। এইভাবে চলতে থাকলে এই শহরের দশা হবে ভয়াবহ। বিষণ্ণ সবুজ ঢেকে যাবে ধূসরতায়। জল জমার মত জমি থাকবে না, থাকবে কেবল কংক্রিটের আচ্ছাদন। তাই মনে রাখা দরকার, উন্নয়ন অবধারিত, কিন্তু উন্নয়নের মত্ত নেশা যদি পরিকল্পনাহীন হয়, তবে ভীষণ বিপদ। চোখের সামনে যেমন বদলে গেলো ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর অংশ। প্রশস্ত এই রাস্তার দুপাশে গাছের সারি আর রাস্তার প্রায় সমান্তরাল জলাভূমি। নব্বইয়ের দশকেও ভীষণ নান্দনিক, নিরিবিলি এক পথ। এই রাস্তায় গেলে বাসা থেকে নয়, মনে হতো শহর ছেড়েই বহুদূর চলে গেছি বুঝি! আসলে শহর ছেড়ে উত্তরের জেলাগুলোতে যাবার এটাই ছিল একমাত্র পথ, তাই মনে এভাবেই গাঁথা ছিল।
রামপুরা ব্রিজের পর থেকে বিশ্বরোডটা গিয়ে বিমানবন্দর সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়ে ওঠেনি তখনো। আমাদের মালিবাগের বাসা থেকে সাত রাস্তা হয়ে অথবা বাংলামটর-ফার্মগেট হয়ে যেতে হত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই সবুজ সারিবাঁধা গাছ চোখে পড়তো; আর সেনানিবাসে ঢোকার জাহাঙ্গীর গেটটা পার হলেই শহর আর শহর থাকত না, কেমন ঝিমিয়ে পড়তো। রাস্তার সমান্তরালে রেললাইনটা বনানীর পর থেকে দূরে চলে যেত। মাঝে ছিল লাল শাপলা ভরা বিল। নৌ-বাহিনীর প্রধান কার্যালয় পার হলে জোয়ার সাহারা ছিল ধুধু প্রান্তর।আস্তে আস্তে শহর বেড়েছে। নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত এখন পুরোদস্তুর আবাসিক এলাকা। দুপাশে নাগেশ্বরের সারির অল্পই অবশিষ্ট আছে, তৈরি হয়েছে উড়াল সড়ক, জলাভূমি ভরাট প্রায়। হঠাৎ দেখি বিশাল আকারের কতগুলো বনসাই লাগানো হচ্ছে! কানে বাজে দ্বিজেন শর্মা স্যারের কথা। স্যারের মুখে যখন বট, পাকুড়, পাদাউক, জারুল, সোনালু, নাগকেশর, নাগলিঙ্গম, হিজল, তমালের গল্প শুনতাম, তিনি বলতেন কিভাবে বোলপুর হয়ে গেল শান্তিনিকেতন। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের কি গাছের অভাব ছিল? কই? না তো! ছোটবেলায় আলাদা করে খেলার জন্য মাঠ লাগে, কখনো মাথায় আসে নি। উৎসব-অনুষ্ঠান করে গাছ চেনাতে হয়, কোনদিন দেখিনি তো! পাড়া মহল্লায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এক বা একাধিক গাছ থাকত। ফুলের চারা চেয়ে চিন্তে, বীজ অথবা কলম করে সংগ্রহ করতাম। নার্সারি ছিল হাতেগোনা কয়েকটা। সেও বহুদূর। কাঁচা বাজারের এক কোনায় একটা মাটির হাঁড়িকুঁড়ি, টব, খাঁদা, ব্যাংক এসব বিক্রির দোকান ছিল, ওখানেই মাঝে মধ্যে দু-একটা চারা পাওয়া যেতো; গোলাপ, বেলি, কসমস, ডালিয়া, গাঁদা, আম, লেবু, পেয়ারা এই সব। এমনও হয়েছে, দেশের বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে এসেছি গন্ধরাজ আর টুকটুকে লাল রং ধরে এমন মেহেদী পাতার ডাল।
Dwijen Sharma, Photo: Fatiha Polin
মাঝে মাঝে মনে হয় গাছ-পাগল মানুষের চেয়ে মানুষ-পাগল গাছ হলে বোধয় শহরটার একটা গতি হত! দ্বিজেন শর্মা যেদিন চলে গেলেন, শহরের সব গাছ তাই নতজানু যেন! বাতাস পথ ভুলে অলিগলি খুঁজে মরে শুধু। পাখিরাও নিশ্চুপ। কেমন অদ্ভুত এক নিস্তরঙ্গ সকাল ছিল সেদিন! হাহাকার জাগে বুকের মাঝে। তবে কি এই শেষ! এমন সকালই স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে আসে।
বহুদুরে চলে গিয়েছেন তিনি। এখনো সে স্বর কানে বাজে। মনে হয় হেঁটে চলি ঝরা বকুলের পথে। এখুনি বুঝি দলবল নিয়ে শিমুল, জারুল, ভাঁট ফুল আর কালমানিকের খোঁজে বেরিয়ে পড়বেন তিনি। একটা ঝড়ে পড়া গাছ দেখে কষ্ট পাবেন নিকট আত্মীয় হারানোর মত।
এমন মানুষ পাওয়া আজ সত্যিই কঠিন। শ্যামলী নিসর্গ, নিসর্গ ও নির্মাণ, ফুল গুলি যেনো কথার মতো বইয়ের স্রষ্টা দ্বিজেন শর্মা নেই আর! সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন প্রকৃতি চেতনায় সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে, কিভাবে এই দেশকে, এই দেশের শহর-নগর-গ্রামে সুচিন্তিতভাবে বৃক্ষ সমারোহ ঘটানো যায়। যেখানে যখন সুযোগ পেয়েছেন গাছ লাগিয়েছেন, শুধু লাগানো বলা ভুল, লালন করেছেন।
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় তিনি নেই। এই তো সেদিন একসাথে রমনায় হেঁটে বেড়িয়েছি আমরা। শিশুর সারল্যে আর বয়জেষ্ঠর প্রজ্ঞায় প্রাচীন বৃক্ষের গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। কেমন করে এ বসুন্ধরা হতে পারে বৃক্ষবহুল, কেমন করে পশ্চিমের রোদ আড়াল করে দাঁড়িয়ে থাকে মেঘ শিরীষের দল আর সূর্যাস্তকালে কেমন এক অপার্থিব আলোয় ছাঁয়া হয়ে কথা বলে ওঠে তারা! আমাদের চারপাশের নীরব এই সাথীদের বন্ধু ছিলেন তিনি। কিন্তু এদের প্রতি এত অবিচারেও কখনো আশা হারায়নি তাঁর মন। তিনি মনোযোগী ছিলেন তাঁর জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত এক প্রজন্ম গড়ায়। তার অবিচল ছুটে চলা ছিল এই স্থবির শহরের প্রাণ সঞ্চারণে। তিনি চাইতেন উভয়ের মাঝে এক যোগসুত্র স্থাপিত হোক। লেখায়, কথায় বলে গেছেন কিভাবে শহরে সবুজের আনাগোনা বাড়িয়ে আরেকটু সবুজ, সহনীয় করা যায় শহরটাকে। যেমন ধরা যাক, পাঁয়ে হাঁটা পথের জন্য তাঁর বড় প্রিয় ছিল ছায়াঘন বকুল, ছাতিম, কাঠ বাদাম, রাজকড়াই, সোনালু, জারুল আর নাগেশ্বর। এক সারিতে না লাগিয়ে দুই সারি পথতরু সেখানে আদর্শ। দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য যে হাজার হাজার মাইলের মহা সড়ক রয়েছে, পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে একে পরিণত করা যায় জাতীয় সম্পদে। প্রাচীন রীতিতে বহুদূর পর্যন্ত একই রকম গাছের সারি যেমন ছন্দবদ্ধ ও আকর্ষণীয়, বিক্ষিপ্ত ও অবিন্যস্ত গাছ তেমনই বেমানান। আর শুধু সারি ধরে কেন? পথের ধারের ঢালু জমিও বিবেচনায় আনা যায়। ঘন সঙ্ঘবদ্ধ বৃক্ষ সেখানে ছায়া প্রদানের সাথে সাথে স্থানীয় অধিবাসীগনের আর্থিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা সহ আমাদের যে কয়টি নগরের মাস্টার প্লান করা হয়েছে তার একটিতেও গাছ পালা নিয়ে নির্দিষ্ট কোন অনুচ্ছেদ নেই। এক্ষেত্রে দ্বিজেন শর্মার দেখানো পথ অনুসরণ করলে সকলেই উপকৃত হবে। নানা সময়ে, ক্ষেত্র বিশেষে গাছ লাগানোর কিছু পরামর্শ দিয়ে গেছেন তিনি। নানা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আর চেষ্টা করেছেন সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
সবার সবসময়ের জিজ্ঞাসা ছিল কিভাবে প্রকৃতির প্রতি এই গভীর ভালবাসা অর্জন করলেন তিনি? আর কিভাবেই বা পরবর্তী প্রজন্মকে আগ্রহী করে তোলা যায়? তাঁর সহজ সরল উত্তর, “ভালবেসে।” ছেলেবেলা থেকেই রোপণ করতে হবে এই ভালবাসার বীজ। শুধু নিজেকে নয়, ভালবাসতে শিখাতে হবে চারপাশটাকে, চারপাশের মানুষকে। সার্বজনীন ভালবাসা রূপান্তরিত হবে সার্বজনীন মঙ্গলাকাঙ্ক্ষায়। ওদের জানাতে হবে, ঋতু বদলের সাথে একটা গাছের সম্পর্ক, কিভাবে ফুলে ফলে অপরূপ রূপে সাজে সে বছর জুড়ে, বসন্তের আগমনী বার্তার জন্য গুগল ক্যালেন্ডার দরকার হয় না; রঙে গন্ধে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত সে সব তরুদল আপন আনন্দেই চিনিয়ে দেয় গ্রীষ্ম, বর্ষা আর বসন্তের প্রকৃত রূপ মাধূর্য। দরকার ছোটবেলা থেকেই এই পরিচয়। আর তবেই ধন, ধান্যে, পুষ্প ভরা থাকবে চিরদিন এই ধরা; প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, জীবনের প্রতিভূ হবে এই পৃথিবী আবার।
Dwijen Sharma with Bengal Institute participants, Photo: Faisal Huda/Bengal Institute
তথ্যসূত্রঃ
All photos of flowers and plants: Fatiha Polin.
This article is from the upcoming issue of VAS. Click here to see the previous issues. Short link to this page for easy sharing: http://bit.ly/Vas4Sobuj